28%

ছাড়

মৃন্ময়ী

৳320 ৳230

0.00/5 See Reviews

প্রোডাক্ট কোড : P0106

Brand : N/A

- +
ঢাকার ভিতরে ৭০ টাকা
ঢাকার বাহিরে ১৩০ টাকা

বিস্তারিত

মৃন্ময়ীর বাবার আসল নাম মইনু মিয়া। তার বাবা ছিলেন দর্জি, তাই ছেলেও দর্জি হবে ভেবে এই নাম রেখেছেন। কিন্তু মইনু মিয়া বাপ দাদার পেশায় না গিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময়েই অবশ্য তিনি এফিডেভিট করে নিজের নাম বদলে রেখেছেন মাইন খান। বাপ দাদার রক্ত শরিরে আছে বলে দর্জি বেপারটা রক্তে মিশে আছে। তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে এখন গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। তার গার্মেন্টসের নাম মৃন্ময়ী এ্যাপারেলস। এই বেপারটা মৃন্ময়ীর ভাল্লাগেনা। বিদেশি লোকজন কলারে মৃন্ময়ী লেখা শার্ট পরবে। মানুষের ঘাড়ের ঘামের সাথে বসবাস। ওর মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে বাবার মত এফিডেভিট করে নাম বদলে ফেলবে। মৃন্ময়ীর বাবার এক বন্ধু আছেন আজাহার নামে। উনাকে মৃন্ময়ী খুব পছন্দ করে। ওর কেন জানি মনে হয় ওর বাবা আজাহার চাচাকে ভয় পান। ব্যবসার বিভিন্ন কাজে যদিও আজাহার চাচার সাহায্য ওর বাবা নিয়ে থাকেন। আজাহার সাহেব বিভিন্ন দুই নম্বরি ব্যবসা করেন। একবার তিনি উমরা হজ্জ করে আসার সময় মৃন্ময়ীর জন্য মিষ্টি তেতুল ও আকিক পাথরের তসবিহ নিয়ে আসেন। আর ওর বাবার জন্য আনেন অদ্ভুত এক উপহার। কাফনের কাপর। এই উপহার অন্য কেউ দিলে ওর বাবা রাগারাগি করার কথা কিন্তু আজাহার চাচা দেয়াতে তিনি কিছু বলতে পারেননি। আজাহার চাচার এক লাজুক ছেলে আছে, শুভ। যে ছোটবেলায় মৃন্ময়ীকে বিয়ে করতে চেয়েছে। মৃন্ময়ীর এক ভাই আছে। যদিও সে মৃন্ময়ীর আপন ভাই না। মৃন্ময়ীর বাবা যুবক বয়সে বিয়ে করেছিলেন, সেখানে এই ছেলে হয়। এরপর তিনি বিদেশে চলে যান এবং সেখান থেকেই তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। তারপর তিনি মৃন্ময়ীর মাকে বিয়ে করেন। মৃন্ময়ীর যখন ৫ বছর বয়স তখন টগর ওদের বাড়িতে থাকতে আসে। মৃন্ময়ীর চোখে টগর হচ্ছে ঢাকা শহরের সবথেকে সুন্দর তিনজন যুবকের মধ্যে একজন। টগরকে অনেক ভালবাসে মৃন্ময়ী। অবশ্য এমন ভাইকে সব বোনই ভালোবাসবে। রাত দুটার সময়ও মৃন্ময়ী যদি ওর ভাইকে বলে দুটা দেশি মুরগির ডিম এনে দাও। সে কোনও প্রশ্ন ছাড়াই এনে দিবে। টগরের কাছে কিছুদিন যাবত একটা ছেলে আসে। ওর নাম টুনু। মৃন্ময়ীর বাবার ধারনা সে পুলিশের ভয়ে এই বাড়িতে রাত কাটাতে আসে। মৃন্ময়ীদের কলেজে নতুন একজন টিচার এসেছে যে নিজেকে সবার থেকে আলাদা প্রমান করতে চায়। একারনে উনার উপর রেগে আছে মৃন্ময়ী। অবশ্য রাগার আরেকটা গুরুতর কারন আছে। তিনি মৃন্ময়ীকে আলাদা করে তার সাথে দেখা করতে বলেন। নানা কথার পর বলেন চলো তোমাকে তোমার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি। তিনি জিজ্ঞেস করেন মটর সাইকেলে চড়তে তোমার সমস্যা নেই তো? তখন ও ঝোকের মাথায় বলে ফেলে সমস্যা নেই। তারপর চিন্তা করতে থাকে এটা বলা ঠিক হয়নাই। তখন স্যার ওকে বলেন, মোটর সাইকেলের বেপারটায় তুমি হুট করে রাজি হয়েছো তাইনা? আসলে তুমি মোটর সাইকেলে চড়তে পছন্দ করোনা? তখন মৃন্ময়ী বলে হ্যা। তখন তিনি তার টেবিল থেকে একটা কাগজ তুলে মৃন্ময়ীকে দেন। সেটাতে লেখা ছিল, মৃন্ময়ী প্রথমে মোটর সাইকেলে চড়তে রাজি হবে এবং পরে চড়তে চাইবেনা। একারনেই মৃন্ময়ী উনার উপর রেগে আছে। আচ্ছা মৃন্ময়ী কি এই স্যারের প্রেমে পড়ে যাবে? নাকি আজাহার চাচার ছেলে শুভর প্রেমে পড়বে? কিজানি। এমনও হতে পারে যে ওর ভাই টগরের কাছে টুনু নামে যে ছেলেটা আসে, যে কিনা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়ায় তার প্রেমেও পড়তে পারে। জগৎ বড়ই রহস্যময়। এসব জানতে হলে পাঠককে মৃন্ময়ী পড়তে হবে।

Reviews (0)

Get specific details about this product from customers who own it.

This product has no reviews yet. Be the first one to write a review.

ভিডিও